ধোঁয়াশায় ঘেরা দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির রাজনীতি
নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
যেখানে জনাব মোঃ তারেক রহমানের নেতৃত্বে, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপিকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেখানে পিছিয়ে যাচ্ছে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপি,এমনটায় দাবি মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের।
বর্তমানে উপজেলা বিএনপিতে গণতন্ত্র, গঠনতন্ত্র ও নিয়মনীতির বালাই নেই। দলের গঠনতন্ত্র কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকরাই মানেন না বলে দাবি তাদের। তারা বলেন,দলের ত্যাগী নেতারা উপেক্ষিত। আন্দোলন-সংগ্রামে যারা মাঠে ছিলেন,থাকেন, মামলা-হামলার শিকার হন তাদের মূল্যায়ন নেই দুর্গাপুর উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপির রাজনীতিতে।
মাঠ পর্যায়ের একনেতা ৭ নং জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মোঃ শামসুল হক বলেন, ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের পর দীর্ঘ ১৬ বছর খুনি হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যে সকল বিএনপির নেতা কর্মীরা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত, তাদের মধ্যে আমিও একজন। বর্তমানে আমার ইউনিয়নে ঐ সকল ব্যক্তি নেতৃত্ব দিচ্ছে যারা হাসিনার শাসনামলে আওয়ামী লীগের হয়ে দালালি করছে। ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতারা আবারো বঞ্চিত হবেন এমনটাই মনে করছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করে আসা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোঃ জোবায়েদ হোসেন আওয়ার বাংলাদেশকে বলেন,দলের যে কোন বিপদে সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। হয়েছি নানা ভাবে নির্যাতনের শিকার, হয়েছে মিথ্যা মামলা। তিনি মনে করছেন অবৈধ অর্থের কাছে হেরে যাবে তাঁর দীর্ঘদিনের রাজপথের সংগ্রামী রাজনীতি।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং দুই বারের জনভোটে নির্বাচিত সফল পৌর মেয়র জননেতা মোঃ সাইদুর রহমান মন্টু বলেন, বর্তমানে দেখছি নতুন অনেক রাজনৈতিক মুখ দরবেশ বাবা। তারাই এখন নেতৃত্বের আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা অর্থের বিনিময়ে দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর ক্যাডারদের আশ্রয়। অর্থের বিনিময়ে সরকারি বিভিন্ন অফিসে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে করছেন দালালি। অবৈধ অর্থ দিয়ে কিনতে চেষ্টা করছেন পদ। অথচ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের শাসনামলে ২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের কে কোন দলীয় কার্যক্রমে পাওয়া যায়নি। হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন এই সব নেতারাই।
দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব সৎ ও বলিষ্ঠ নেতা আহমেদ রেজাউল হক স্বপন বলেন, বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের যৌবন, পরিবার, সংসার সব শেষ করেছি, হয়েছি মিথ্যা মামলার স্বীকার। বিএনপির যে সব সুবিধা বাদী নেতারা রাক্ষুসী হাসিনার গোলামী করেছে, যাদের রাজনৈতিক কোন ইতিহাস নেই, যাদেরকে ইতি পূর্বে কোন মিটিং মিছিলে পাইনি সেসব দরবেশ বাবারা আজ খুনি হাসিনার দোসরদের অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন জায়গায় সুযোগ সুবিধা করে দিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক ও দুঃখের।
বিএনপির নীতি নির্ধারকদের কাছে সকল ত্যাগী নির্যাতিত নেতাদের দাবি দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ত্যাগী ও সৎ নেতাদের হাতে নেত্রীত্বের দায়িত্ব ভার অর্পণ করা।
দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির রাজনীতি ও পদ-পদবি নিয়ে জানতে চেয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ বাবুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, জনাব তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় যে সকল নেতা কর্মীরা ৫ই আগষ্ট এর পূর্বে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারাই আগামীতে দলের নেতৃত্ব দিবেন। কোন হাইব্রিড বা নব্য বিএনপি দলের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারবে না।
