ক্রাইম রিপোর্টারঃ
রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলা ৭ নং জয়নগর ইউনিয়নের চুনিয়াপাড়া মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও মডেল একাডেমীর সুপার কাটাখালী নিবাসী হাফেজ মোঃ ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে শিশু ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ।
সরেজমিনে জানা যায়, ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় হাফেজ ইকবাল নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের পাশাপাশি শিশু ছাত্রদের বলাৎকার করে আসছিলেন। সর্বশেষ ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে এহেন নেক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে এই লম্পট ইকবাল। ভুক্তভোগী শিশুর বাড়ি আমগ্রাম, প্রত্যক্ষদর্শীর বাড়ি বেড়া গ্রামে। আত্মসম্মানবোধ থেকে ভিকটিম গণ মাধ্যম কর্মীদের সামনে কথা বলতে চান নাই।এই বিষয় কে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে গত ১১ই জুন রাতে কুশিয়াডাঙ্গা গ্রামের উপজেলা বিএনপির নেতা আঃ সামাদের বাড়িতে সামাদ,আলেফ হাজী, সাবেক চেয়ারম্যান ইসরাফিল, বর্তমান মেম্বার আনোয়ারের উপস্থিতিতে ঘরোয়া ভাবে বিষয় টি ধামাচাপা দেওয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ এলাকা বাসী জানান, ঘটনার স্থান ও প্রতিষ্ঠান ৭নং ইউনিয়ন চুনিয়াপাড়া গ্রামের আর গোপন বৈঠক করে সমাধান করছে ৪নং ইউনিয়নের কুশিয়াডাঙ্গা গ্রামে তা মেনে নেওয়া যায় না। তারা অপরাধী ইকবালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন, ভবিষ্যতে আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেনো এমন ঘটনা না ঘটে।
এই বিষয়ে জানতে, ইকবালের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। শালিসি বৈঠকে থাকা আলেফ হাজী ঘটনা সত্য স্বীকার করে বলেন, হাফেজ ইকবাল কে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং সেই টাকা ভুক্তভোগী দুই পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আঃ সামাদকে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।