স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার ভুগরইল মোড়ের ওএস কর্পোরেশনের ১২ লক্ষ টাকার মালামাল চুরির সংবাদটি আওয়ার বাংলাদেশ সহ একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় গত ১৩ই এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে। ঘটনার সত্যতার সকল তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পরেও মামলা রেকর্ড করছেন না শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মাশরুমা মুস্তারি এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারগিস। তিনি বলেন, ম্যানেজার মোতালেব, নওদাপাড়া এলাকার রিপন ও শাওন তাদের দল বল নিয়ে আমার ক্রয় কৃত দোকানের মালামাল চুরি করেছে তার সকল তথ্য প্রমাণ দিলেও থানায় মামলা না নিয়ে ওসি আদালতে মামলা করতে বলছেন । তাহলে থানায় কি সহযোগিতা পাবে সাধারণ মানুষ এমনটাই প্রশ্ন তার।
ফৌজদারি মামলার একটা বড় অংশের কার্যক্রম শুরু হয় থানায় এজাহার দায়েরের মধ্য দিয়ে। অপরাধ সংঘঠনের পর বিচার প্রার্থীর প্রথম কাজ হলো থানায় মামলা দায়ের করা। আমলযোগ্য অপরাধ সংঘঠিত হওয়ার পর কোন নাগরিক থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা রেকর্ড করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন না। পিআরবি’র ২৪৪(ক)ধারা মতে, মিথ্যা বা সত্য হউক, মারাত্ত্বক বা নগণ্য হউক, পেনাল কোড বা যেকোন বিশেষ আইন বা স্থানীয় আইন সম্পর্কিত হউক, পুলিশের নিকট প্রদত্ত প্রত্যেকটি আমলযোগ্য অপরাধ সম্পর্কিত এজাহার পাওয়ার পর ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪ ধারার বিধান অনুযায়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা নিতে বাধ্য। এরপর মামলা তদন্তের মাধ্যমে শুরু হয় বিচার কাজ।
এই বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জনাব মাশরুমা মুস্তারি বলেন, দোকানের মালামাল চুরি হয়েছে সত্য যারা চুরি করেছে তারা দোকানের সাবেক মালিক হুমায়ুনের কাছে টাকা পায়। পাওনাদারের পাওনা টাকার কোন প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,তেমন কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারেন নি। একজনের কাছে পাওনা টাকা অন্যের কাছে বিক্রিত দোকানের মালামাল চুরি বা লুট করে নেওয়া এটা আইনের আওতায় আসে এমন প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, অভিযোগ কারি নারগিস আক্তার কে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।