নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ ব্যতিক্রম ভাবে রাজধানীতে ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার সময় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির নেতা কর্মীদের নিয়ে দলিল লেখক সমাবেশ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সংগঠনের নেতা হাজী মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব এম এ রশিদ, কে.এস.হোসেন টমাস,আয়নাল হক, এম.এ.তাহের, আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, নুরুল হক, আমিনুল ইসলাম আকন, মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক, সেলিম, মোজাম্মেল হক সহ সুনামধন্য দলিল লেখক ও গনমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির মহাসচিব এম এ রশিদ ও কে এস হোসেন টমাস তাদের বক্তব্যে বলেন, দলিল লেখকরা অনেক কষ্ট করে তহশিল অফিসে কাগজপত্রের খোজ খবর নিয়ে দলিল লিখে পান ১৬০ টাকা অথচ একজন কাজী কাবিননামায় কবুল লেখেউ পাচ্ছেন ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বাকিতে ঘুষ নেয় তফশিল অফিসের কিছু করমচারী বলে ও মন্তব্য করেন তিনি এবং ৮ ফেব্রুয়ারী রাজধানীতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন মহাসচিব এম এ রশিদ সহ বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির নেতা কর্মীরা তারা বলেন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী রাজধানীতে মহাসমাবেশ করা হবে।
তাদের দাবি গুলো হচ্ছে , দলিল রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি আধুনিকায়নের নামে দলিল লেখদের পেশাচ্যুত করা যাবে না। সাবেক আইন মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতিশ্রুতি দলিল প্রতি সম্মানী ভাতা নূন্যতম ৪০০০ টাকা বাস্তবায়ন করতে হবে।
লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লেখক ব্যতিত অন্য কেহ দলিল লেখতে বা মুসাবিদা করতে পারবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারী করতে হবে। থানা ও জেলা কার্যালয়ে সরকারী খরচে দলিল লেখকদের বসার ও নামাজের স্থান নির্মান করে দিতে হবে। যেহেতু পক্ষগণের সরবরাহকৃত কাগজপত্রের ভিত্তিতে দলিল লেখা হয়, সেহেতু দলিল লেখদের পেশাগত দলিল লেখা মুসাবিদা কারক হিসাবে দলিল লেখদের আসামী করা যাবে না। দলিল লেখক সমিতির থানা ও জেলা কমিটির সুপারিশ ব্যতিত অনভিজ্ঞদের দলিল লেখার লাইসেন্স প্রদান করা যাবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারী করতে হবে। দলিল লেখক কাউন্সিল গঠনের অনুমতি দিতে হবে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সস্ট্রিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ দলিল লেখকদের সমাবেশে তাদের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সকলকে উপস্থিত হওয়ার আহবান জানিয়ে তাদের প্রস্তুতি সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭১৭-৯৩৮৪৮৪
০১৯১৩-৭২৭৬৯০
ই-মেইলঃ [email protected]