দুর্গাপুরে ২৬ টি সরকারি গাছ বিক্রি
নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী দূর্গাপুর উপজেলা পুরান তাহেরপুরে সরকারি জমির উপরে বেড়ে উঠা আম গাছ, জংলি গাছ, কড়াই গাছ সহ বিভিন্ন প্রকারের ২৬ টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগমারা ও দুর্গাপুর থানার সীমানা ঘেঁষে পুরান তাহেরপুর সুইচ গেট এলাকা । পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বারানয় নদী । মূলত বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই সুইচ গেট ঠিক তারই পূর্ব পাশে সরকারি খাস জমি । আর সেই সরকারি খাস জমিতে দীর্ঘ দিন বসবাস করে আছেন ভূমিহীন কিছু পরিবার । কালের বিবর্তনের ফলে তারা অনেকেই এখন সচ্ছল এবং হয়ে উঠেছেন স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী । এদের মধ্যে মোঃ আলম, পিতা মৃত- সোহরাব, মোঃ সম্রাট, পিতা মৃত-ইব্রাহিম এবং মোসাঃ নাজমা, স্বামী- বাচ্চু সরদার উল্লেখযোগ্য।
গত ৩,৪,৫ ও ৬ই জানুয়ারি তারিখে দফায় দফায় উল্লেখিত ব্যক্তিগণ সরকারি ২৬ টি গাছ কেটে বিক্রি করেন। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রায় ।
স্থানীয় সূত্র মতে জানা যায়, তাদের কে গাছ কাটার হুকুম দিয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করেন একই গ্রামের রিফুজি পাড়ার মৃত কাবিল মোল্লার ছেলে মোঃ জিয়ারুল, আয়ান উদ্দিনের ছেলে মোঃ হায়দার মাষ্টার ও মোঃ ফারুক । গাছ কাটাতে উচ্চ মুজুরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন মোঃ সিরাজুল, পিতা-মৃত সাইফুল্যাহ্ , মোঃ ফজল, পিতা মৃত- লাইবত, মোঃ আশরাফুল, পিতা মোঃ মতিন, মোঃ রিপন, পিতা মোঃ কাউছার।পরবর্তীতে গাছ বিক্রির অবৈধ টাকা উল্লেখিত ৬ ব্যক্তি নিজেরা বন্টন করে নেন।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাসায় ছিলেন না, তবে তার স্ত্রী নার্গিস গাছ কাটা ও বিক্রির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সম্রাট এর সাথে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদ কর্মীর উপস্থিতি দেখে বাসার গেটে তালা লাগিয়ে সটকে পড়েন। নাজমা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি গাছ কাটা ও বিক্রি হয়েছে এমনটাই বলেছেন। তবে তার দাবি তিনি গাছ কাটা বা বিক্রির সাথে সমপ্রিক্ত নন।
পুরান তাহেরপুর এলাকার জনপ্রতিনিধি বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ মালেকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এই বিষয়ে তিনি, মোঃ সুমন চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শনে আসেননি । স্থানীয় উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে অনেকেই জানান, এসি ল্যান্ড স্যার এসে সুইচ গেট থেকে ঘুরে গেছেন । মালেক মেম্বারের দাবি যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ প্রভাব খাটিয়ে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, যেনো ভবিষ্যতে কেউ রাষ্ট্রের সম্পদ জোর করে ভোগ করতে না পেরে ।
এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সুমন চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমি অবগত নয়। নায়েব কে সরেজমিনে পাঠিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ তাঁকে কল করেননি এবং তিনি ঘটনা স্থলে যান নাই বলে জানান।