ঢাকাFriday , 10 January 2025
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চাঁদাবাজি মামলায় খালাস বারি’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মামুন, মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ উল্লাস

Link Copied!

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

বিজ্ঞ আদালতের একজন স্টেনো-টাইপিষ্টের এক চাঁদাবাজি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বারি’র এক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার তেলোপাড়া গ্রামে। নাম মো. মামুনূর রশিদ মামুন। গত ৮ জানুয়ারী বুধবার চাঁপাই নবাবগঞ্জের বিজ্ঞ জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা দেন। এ খবরে ১০ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ উল্লাস করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফহিম উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মামুনকে ফাঁসানোর জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জুডিশিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনো-টাইপিষ্ট তারিক উজ্জামান ওরফে তারেক। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চান্দলাই বাগানপাড়া গ্রামে।
মামুনের এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বুলু বলেন, সেই ষড়যন্ত্র থেকে বিগত ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী চাঁপাইনবাবগঞ্জের জুডিশিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন তারেক। যার মামলা নম্বর সিআর-২০৩/২৩। ওই মামলায় মামুনকে আসামি করা। পরবর্তীতে ওই বছরের ২ মার্চ দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বদলি করা হলে জিআর মামলা নম্বর ১০৬/২৩ হয়। এই মিথ্যা মামলা থেকে বিজ্ঞ আদালত মামুন সাহেবকে বেকসুর খালাস করে দেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মামুন ছাত্রজীবন থেকে প্রথমে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও পরে থানা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত), পরবর্তীতে বাধাইড় ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি। এছাড়াও তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় থানা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি পদে ছিলেন। বর্তমানে চাকুরি জীবনেও শহীদ জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত বারি’র এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
তানোর থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক এমদাদুল হক মন্ডল বলেন, অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় আ.লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হন এই বিজ্ঞানী মামুন। ঘুষখোর তারেক আ.লীগের দোসর মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি করে। ওই মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ উল্লাস করে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থক আর গ্রামবাসীরা।
এবিষয়ে তারেকের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফহিম উদ্দিন বলেন, তারেক তার পুত্র হলেও সে দূর্নীতিবাজ ঘুষখোর ও পিতা-মাতাকে নির্যাতনকারী প্রতারক। বিজ্ঞ আদালতের অজান্তে কু-কৌশলে, আদালতকে ব্যবহার করে আদালতের সুনাম ক্ষুন্ন করে আসছে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্য। এমন দূর্নীতিবাজ ঘুষখোর তারেকের বিজ্ঞ আদালতের মতো সুনামধন্য জায়গায় চাকুরি করার অধিকার নেই। তাকে অবিলম্বে চাকুরিচ্যুত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জুডিশিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনো-টাইপিষ্ট তারিক উজ্জামান তারেকের মোবাইলে ফোন দিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, চাঁপাইয়ে অনেক কোর্ট আছে, আবার অনেক তারেক আছে আপনি কোন তারেকের কাছে ফোন করেছেন বলে এড়িয়ে গিয়ে সংযোগ বিছিন্ন করেন।

dailyalochitosangbad