ঢাকাFriday , 27 December 2024
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জনপ্রিয় সংবাদ
  9. জাতীয়
  10. বিনোদন
  11. রাজধানী
  12. রাজনীতি
  13. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভূমি দস্যু কালামের ৩৫০ বিঘা পুকুর প্রোজেক্টের নেপথ্য কথাঃ-প্রতিবেদন-১

Link Copied!

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলার সব থেকে বড় পুকুরের প্রোজেক্টের নাম উঠলেই চলে আসে কালামের প্রোজেক্টের নাম । কে এই কালাম ?? কোথায়বা এই প্রোজেক্ট?? কত বড় এই প্রোজেক্ট?? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল।

কালামের পরিচয়, সম্পূর্ণ নাম আবুল কালাম আজাদ। তিনি রাজশাহী-৪ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য । ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পূর্বে তিনি তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, ছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন সর্বহারার সক্রিয় নেতা । ২০০৮ সালের পূর্বে তার নুন আনতে পান্তা ফুরোত, বর্তমানে তার নামে এবং বেনামে শত শত কোটি টাকার সম্পদ।

আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসলে পৌর মেয়র হন তিনি । মেয়র হিসেবে ছিলেন একটানা ১৫ বছর । ক্ষমতা বলে হয়ে যান এলাকার ত্রাস ও আতঙ্ক, হয়ে যান ভূমি দস্যু কালাম । মূলত তখন থেকেই শুরু হয় তার এলাকায় আধিপত্যের বিস্তার। ২০২৪ সালের আওয়ামী লীগের প্রহসনের নির্বাচনে হয়ে যান সংসদ সদস্য ।২০১৩ ও‌ ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এনামুল হক কে টোপকিয়ে বাগিয়ে নেন এমপি নমিনেশন। কিন্তু বিধি বাম হলে যা হয়, ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর তিনি চলে যান আত্মগোপনে । পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন মামলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হন । তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনিও সংসদ সদস্য পদ হারান। তিনি বিভিন্ন সময় মানুষকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভূমি দখল করেছেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মামলায় রাজশাহী জেল হাজতে বন্দি আছেন।

কোথায় এই কালামের প্রোজেক্টে?? রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুর উপজেলার কিসমত গণকৈড় ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের সীমান্ত ঘেষে উজান খলসী পূর্ব বিল নামক স্থানে ৩৫০ বিঘার এই প্রোজেক্ট। ২০২৩ সালে এই প্রোজেক্ট হাতে নেন‌ কালাম তাকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেন রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) সাবেক এমপি আঃ ওয়াদুদ দারা এবং সাবেক পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন। প্রোজেক্টটি শুরু হয় মূলত ২০২৪ সালে ।

৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর যা মাঝে খানে কিছু সময় বন্ধ থাকলেও বিএনপি নামধারী কতিপয় সুবিধা ভোগী নেতা-কর্মীদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পুকুরটি পুঃরায় খনন কার্য চালু হবে এমনটাই শোনা যায় সরেজমিনে।

কেনো তাকে বলা হয় ভূমি দস্যু এমন এক প্রশ্নের জবাবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ৩৫০ বিঘা পুকুরের প্রোজেক্টের ১০০ বিঘার টাকা ৪ ভাগের এক ভাগ দিয়েছে। বাকি টাকা কৃষক কে দেননি জোর পূর্বক পুকুর খনন করছেন। এই জন্য মানুষ তাকে ভূমি দস্যু বলেন। তার ভয়ে এলাকার একজন মানুষও মুখ খুলতে পারেন না। এই পুকুরের খননের পূর্বে সেখানে ছিল দিগন্ত জুড়ে সবুজ ফসলের মাঠ। হতো বছরে তিন ফসল, আজ অসম্পন্ন পুকুর হয়ে পড়ে আছে। কৃষকদের মাথায় হাত আর চোখে পানি । কৃষি নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সঙ্গে থাকুন পরবর্তীতে আরো অনেক তথ্য দেশ বাসির সামনে তুলে ধরা হবে।

 

dailyalochitosangbad