নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলা ১নং নওপাড়া ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ৫১ নং ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় পুরষ্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা গত ২৫.১২.২০২৪ইং তারিখে।
আলোচনা ও পুরষ্কার বিতরণ শেষে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে । উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম,অবঃ প্রধান শিক্ষক,অত্র বিদ্যালয়, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য জনাব মোঃ সাইদুর রহমান মন্টু, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোঃ জোবায়েদ হোসেন সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সাইদুর রহমান মন্টু তাঁর বক্তব্যে বলেন,১৬ই ডিসেম্বর, আমাদের মহান বিজয় দিবস। এই দিনে আমরা সবাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করি আমাদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বিজয় দিবসের এই দিনে আমরা আবারও স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস। আমরা জানি, এই বিজয় আসেনি সহজে। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা এ বিজয় অর্জন করি।এই বিজয়ের পিছনে রয়েছে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য আত্মত্যাগ ও বীরত্ব। তারা দেশমাতৃকার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। তাদের এই আত্মত্যাগ আমাদের চিরকালের অনুপ্রেরণা।
আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন আজও পুরোপুরি পূরণ হয়নি। আমাদের দেশে এখনও গণতন্ত্রের চর্চা নেই, আইনের শাসন নেই, দুর্নীতি ও অনিয়ম বিরাজমান।তাই আমাদের সকলের উচিত এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আসুন আমরা সকলে মিলে দেশকে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলি।
অধ্যাপক মোঃ জোবায়েদ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন,আজ মহান বিজয় দিবস। ১৬ ডিসেম্বরের এই দিনে বাংলাদেশ লিখিতভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর বুকে নতুন এক দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই দেশটির নাম হচ্ছে আমাদের আজকের এই বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে লিপ্ত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ চলতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে সাহসী সৈনিকরা। বাংলাদেশের এই যুদ্ধ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ। পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ।
নিজের মাতৃভূমির কপালে বিজয় লাল টিপ পড়াতে লাখো শহীদ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। বাঙালি মা-বোনরা হারিয়েছে তাদের সম্মান, হয়েছেন নির্যাতনের শিকার। আমরা সেই লাখ লাখ বীর শহীদের স্মরণ করি এবং তাদের বুকের তাজা রক্তগুলোকে সম্মান করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। তাদের এই রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের এই স্বাধীনতা।আমরা পেয়েছি যে, বিজয় অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আমাদের বাঙালিদের মাঝেই কিছু মানুষ রুপী পশু। বিজয়ের ৫১তম বছরে এসেও এই নরপশুদের এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে বিচারকার্য শেষ হয়নি।
লাখো লাখো বাঙালির রক্তের বিনিময় এবং বাংলার মা-বোনেদের সমন্বয়ের বিনিময়ে কেনা আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ এর মধ্যে যুদ্ধাপরাধীরা আজও পর্যন্ত বসবাস করছে। এই লজ্জা আমাদের, এই অপমান আমাদের মায়ের মতো দেশের জন্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা তিনি তুলে ধরেন।