পরিসংখ্যান ব্যুরোর নিয়োগ নিয়ে ধুম্রজাল
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পরিসংখ্যান ব্যুরোর শুমারির কাজের খন্ড কালিন লোক নিয়োগের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে গত ৩০শে নভেম্বর। এই নিয়োগ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই উপজেলা বাসির।
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৫ সালের গেজেটের মাধ্যমে সম(বিধি-৪)-ছুটি-১১/২০০০-১৪৯ নং বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক সরকার সকল সরকারী অফিস ২ দিন (শুক্রবার ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করেন। তাহলে প্রশ্ন উঠে ৩০শে নভেম্বর ছিল শনিবার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে কোন উদ্দেশ্যে ?
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে কোন সরকারি নিয়োগের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে আবেদন কৃতদের পরীক্ষা শেষে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা । আদো কি সেই নিয়ম মেনে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে ?
যদি প্রজ্ঞাপন জারি হয়ে থাকে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে,পরীক্ষা ছাড়া সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় তবে তা কত তারিখ ও কোন পত্রিকার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ?
আবারো প্রশ্নঃ ইতি পূর্বে যারা নিয়োগ প্রাপ্ত ছিলেন তারা কিভাবে নিয়োগ নিয়ে ছিলেন তা দেশবাসী জানেন। সেই নিয়োগের কারা বাদ পড়েছেন বা বাদ দেওয়া হয়েছে ? কি ছিল তাদের অনিয়ম ? কতজন বাদ পড়েছেন? নতুন করে কতজন নিয়োগ হবে ? কতজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে? এমন নানা প্রশ্ন সাধারণ জনগণের মাঝে । চলছে নানা জল্পনা কল্পনা বিভিন্ন মহলে ।
এই বিষয়ে জানার জন্য দুর্গাপুর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সাহেবের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যুরো অফিস পরিচালনার জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আছেন যার সভাপতি ইউএনও মহোদয়। তিনি বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন। কথার শেষ পর্যায়ে তিনি জানান, গত দুই মাস আগে তিনি বদলি হয়ে গেছেন।
গত ২রা ডিসেম্বর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের গেটে নেম প্লেটে সাখাওয়াত হোসেনের নাম। দিনের বিভিন্ন সময় অফিস চলা সময়ে চার বার গিয়েও অফিস তালা বন্ধ পাওয়া যায় এবং নোটিশ বোর্ডেও এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ছিল না। পরবর্তীতে ওয়েব সাইট থেকে একটি টেলিটক নাম্বার নিয়ে কল করা হলে অপর প্রান্তে থেকে কথা না বলে চুপ থাকেন । লোক মুখে শোনা যায় বর্তমান অফিসারের না আবুল কাশেম।
এই বিষয়ে ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এটা পরিসংখ্যান ব্যুরো অফিসের বিষয় তাদের সাথে কথা বলুন।
বিএনপির দায়িত্বশীল কতিপয় নেত্রীবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এই নিয়োগ বিষয়ে অবগত নন।
জনগণের প্রশ্নঃ কাদের নির্দেশে এই নিয়োগ, তাহলে কি দুর্নীতি, অনিয়ম বা নিয়োগ বাণিজ্য আছে এই নিয়োগে ?
